রাজধানীর বাড্ডা লিংক রোডের জনতা ইনস্যুরেন্সের সামনের সড়কে এক পাঠাও চালক তাঁর নিজের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। আজ সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। ট্রাফিক পুলিশের দাবি, মামলার ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে বাইকার তাঁর নিজের গাড়িতে আগুন দিয়ে থাকতে পারেন।
ওই ব্যক্তির মোটরসাইকেলের কাগজপত্রে কোনো সমস্যা ছিল না বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, মোটরসাইকেল চালক ছোটাছুটি করছেন, ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তাঁর মোটরসাইকেলে আগুন জ্বলছে। কেউ কেউ পানি দিয়ে মোটরসাইকেলের আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে এলে তিনি তাতে বাধা দেন।
এ বিষয়ে বাড্ডা ট্রাফিক বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) সুবীর রঞ্জন দাস এনটিভি অনলাইনকে বলেন, “বাড্ডা লিংক রোডের জনতা ইন্স্যুরেন্সের সামনে সকাল সাড়ে ৯টার দিকের ঘটনা এটি। ট্রাফিক সার্জেন্ট ওই ব্যক্তির কাছে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চান। কাগজপত্র হাতে দিয়েই তিনি সার্জেন্টকে লক্ষ্য করে বলতে থাকেন, ‘মামলা করবেন না স্যার।’ কাগজপত্র নেওয়ার দুই মিনিটের মধ্যে তিনি তাঁর নিজের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে কিন্তু দেখা গেছে, কাগজপত্রের কোনো সমস্যা ছিল না।’
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘উনি হয়তো হতাশ মানুষ। ব্যবসা করতেন। করোনাকালে হয়তো ধরা খেয়েছেন। এ ছাড়া তাঁর মধ্যে একটি ভয় ছিল, এখানে যাত্রীর জন্য অপেক্ষায় থাকার কারণে মামলা দিতে পারে। ওই স্থানে আরও অনেক রাইডার দাঁড়ান। কিন্তু, ওখানে আজ দাঁড়াতে না দেওয়ার কথা ছিল। সেজন্য হয়তো উনি আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন।’
পুলিশের এসি সুবীর রঞ্জন দাস আরও বলেন, ‘আসলে উনি হয়তো কোনো কারণে ক্ষুব্ধ ছিলেন, সেজন্য গালি দিচ্ছিলেন। আমরা বিষয়টি আরও যাচাই-বাছাই করে দেখছি।’
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ওই ব্যক্তি ক্ষুব্ধ হয়ে নিজের মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে দেন। পরে পুলিশ তাঁকে থামিয়ে মোটরসাইকেলটির আগুন নেভায়। পরে ঘটনা জানার জন্য তাঁকে থানায় আনা হয়েছে। বিষয়টি আমরা দেখছি।’