দ্রুত ঘুম আনার জন্য করনীয়ঃ
আমাদের ভিতরে এমন অনেকেই আছে যারা ঘন্টার পর ঘন্টা শুয়ে থাকে কিন্তু ঘুম আসে নাহ। পরে দেখা যাই ভোর বেলা ঘুম আসছে আর ঐদিকে কলেজ বা অফিসে যেতে লেট হয়ে যাচ্ছে। আর ঘুমের ঘাটতির কারনে শরীর খিটমিট করছে।
তো এই রকম সমস্যা আমরা প্রায়ই লক্ষ্য করে থাকি। তবে সাধারনত তারাই এই সকল সমস্যার সম্মুখীন হয় যারা সারাদিনে কোন কাজ করে নাহ বা যাদের মাথায় অনেক টেনশন। তো যারা কাজ করেন নাহ তাদের জন্য টিপস হচ্ছে শরীরটা একটু নাড়া-চাড়া করুন।
এর ফলে শরীর সুস্থ থাকবে ও রাতে গভীর ঘুমও আসবে। আর যাদের মাথায় অনেক চিন্তা তাদের জন্য পরামর্শ হচ্ছেঃ
চিন্তা না করাঃ
আপনার সমস্যা আপনাকেই সমাধান করতে হবে। পাড়াপ্রতিবেশি এসে করে দেবে নাহ। তো কিভাবে করবেন এই সমস্যার সমাধান।
অকে চলুন খুজে বের করুন। আপনার দিনের সবচেয়ে সেরা অবসর সময়টা বের করুন। অবশ্যই মাথা এই সময়ে ঠান্ডা থাকবে হবে।
অন্যথায় পরে নানান সমস্যার সম্মুখীন হবে। তো এই অবসর সময়ে ভাবুন যে আপনার দুশিন্তা কেমনে করে সমাধান করবেন।
এখন কথা হচ্ছে আবার যদি রাতে ঘুমানোর সময় এই চিন্তা মাথায় আসে তাহলে আবার নিজেকে বুজ দেন যে এই সমস্যার সমাধান আবার কালকে করবো।
গোসল করাঃ
সারাদিন কাজের শেষে শরীর যখন অনেক ক্লান্ত তখন আরামদায়ক ঘুমের জন্য গোসল করতে পারেন।
এক্ষেত্রে শীতকাল হলে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করে গোসল করুন।
আর গরমকাল হলে সাভাবিক পানিতে গোসল করুন।
আর রাতের খাবার শেষে ব্রাশ করেতে ভুলবেন নাহ।
এই কাজ গুলা করলে দেখবেন অনেক সুন্দর থাকবে। পরের দিন ঘুম থেকে উঠে মন অনেক ফুরফুরে থাকবে।
রাতে মোবাইলঃ
রাতে ঘুমানোর সময় কখনোই মোবাইল চালাবেন নাহ। কোন দরকার থাকলে তা আগেই করে ফেলুন।
আর ঘুমানোর আগে মোবাইল মাথা থেকে দূরে থাকুন। মোবাইল কাছে রেখে ঘুমালে সকালে হালকা মাথা ব্যাথা করে যেটা খুব একটা বোঝা যাই নাহ।
কিন্তু এটাই এক সময় মরনের কারন হয়ে দাঁড়ায়। তাই ফোন দূরে রাখুন ঘুমানোর সময়।
বিছানা পরিষ্কারঃ
ঘুমানোর আগে অবশ্যই বিছানা ভাল মতো পরিষ্কার করে নিতে হবে। বিছানা উচু নিচু থাকলে ঘুম সুন্দর হবে নাহ।
এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে গা ব্যাথা করবে। আর যদি আপনার আগে থেকে ঘাড়া ব্যাথার সমস্যা থাকে তাহলে দেখে নিন আমাদের পূর্বের এই পোস্টটি।
ঘাড় ব্যাথা হওয়ার কারন ও প্রতিকার
ধন্যবাদ আমাদের সাথে থাকার জন্য। আপনার বন্ধুদের সাথে আমাদের পোস্ট গুলা শেয়ার করতে ভুলবেন নাহ।