পায়ের নোখের কুনি
পৃথিবীতে পায়ের নোখের সমস্যা নেই এমন মানুষ খুব কম আছে। সবাই এই সমস্যার মুখে কম বেশি পড়েই। কেউ বা দীর্ঘদিন যাবত এই রোগে আক্রান্ত থাকে আর কেওবা মাত্র কিছু দিন এই রোগের স্বীকার হয়। তো যাই হোক আজকে আমি আপনাদের কে দিতে যাচ্ছি সেরা কিছু টিপস যেগুলা ১০০% কাজ করবে কোন রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া। { যেকোন ওষুধ সেবনের পূর্বে রেজিস্টার ডাক্তারের পরামর্শ নিন }।
নোখের কুনি কেন হয়
বিভিন্ন কারনে এই নোখের কুনি হতে পারে। তার মধ্যে প্রধানত হচ্ছে পায়ের নোখ ঠিক মতো কাটতে না পারা। অনেকেই আছে যারা নোখ কাটার সময় পায়ের নোখের কাচা অংশ কেটে ফেলে ফলে নোখের কুনি হয়।
আরো একটি সমস্যা হচ্ছে কাদা পানি বা ধুলা বালির মধ্যে বেশি ঘুরাঘুরি করলে নোখের কুনি হতে পারে। এবং তা মারাত্তক আকার ধারন করতে পারে।
নিম্নে দেওয়া পরামর্শ গুলা করার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ করে নিবেন।
আপনি যদি একজন মোবাইল গেম লাভার হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের নিচের পোস্টি পড়তে পারেন।
দেখে নিন ২০২১ সালের সেরা কিছু মোবাইল গেমস।
কুনি হলে যা যা করনীয়
-
গরম পানি + লবন
রোজ রাতে ঘুমানোর পূর্বে কুসুম গরম পানিতে লবন মিশ্রন করে পায়ের নোখ ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন যে ১-২ মিনিটের মধ্যেই অনেক টা আরাম পাচ্ছেন।
এইভাবে ১-৩ দিন করলেই আপনার পায়ের কুনি ৮০% ঠিক হয়ে যাবে।
-
স্যাভলন
দিনে একবার পায়ের নোখে স্যাভবন লাগাবেন। এতে করে আপনার নোখের ভিতরের ময়লা গুলা বের হয়ে যাবে ও জিবানু গুলা মরে যাবে।
এটি দিনের সেই সময় ব্যবহার করবেন যখন মনে হবে যে আজ আপনার পায়ের মধ্যে অনেক ময়লা ডুকে গেছে। আর যেদিন বেশি ময়লা ডুকে যাই সেদিন প্রচুর ব্যাথা করে। তাই সেই দিন গুলা স্যাভলন দিয়ে পা পরিষ্কার করে ফেলবেন।
-
নখ কাটা
এমতাবস্থায় নখ নিয়ে বেশি ঘাটাঘাটি করা যাবে নাহ। যদি সম্ভব হয় হালকা চাপ দিয়ে পুজ বের করে ফেলতে হবে। আর নোখ বড় হলে কেটে ফেলতে হবে।
কিন্তু কখনোই নখের কাচা অংশ কাটা যাবে নাহ। এতে করে নোখের কুনি হয় ও কুনি বেড়ে যাই। আর ব্লেড সব সময় নতুন ব্যবহার করবেন। অথবা নিজের পার্সোনাল নেইল কাটার ব্যবহার করবেন।
-
পানি না দেওয়া
নোখের কুনি হলে কখনোই ঠান্ডা পানি দিয়ে পা ধোয়া যাবে নাহ। চেষ্টা করবেন যাতে দিনে ০-১ বারের বেশি পানি নোখে না লাগে। তবে গরম পানি লাগলে কোন সমস্যা হবে নাহ।
-
ফেসিড ক্রিম
মাত্র ৮০ টাকা খরচ করলেই আপনি পেতে পারেন ফেসিড ক্রিম। এই মলমটি দিনে ২ বার নোখে লাগালে ২-৩ দিনেই অনেকটা নরম পড়ে যাই।
[ বিঃ দ্রঃ এই মলম লাগানোর আগে অবশ্যই হাসপাতাল থেকে শুনে আসবেন যে এটি আপনি লাগাতে পারবেন কিনা ]
উপরের যতোগুলা টিপস দিয়েছি তার মধ্যে সবচেয়ে কার্যকরী হচ্ছে গরম পানি ও লবন মিশিয়ে পায়ের নোখ পরিষ্কার করা। এতে আপনি কয়েক দিনের মধ্যেই এই রোগ থেকে মুক্তি লাভ করবেন।
ধন্যবাদ এতো কষ্ট করে এই পোস্ট টা পড়ার জন্য। আপনার পরিচিত কারো এই সমস্যা থেকে থাকলে অবশ্যই তাদের সাথে এই পোস্টি শেয়ার করবেন।
আর ভাল লাগলে বা কোন কিছু জানার থাকলে নিচে কমেন্ট করবেন। এটি আমাদের অনুপ্রেরনা দেই নতুন পোস্ট দেওয়ার।